বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি আজ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নের সাথে জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন সরকার অগণতান্ত্রিক পথে পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক নীরব প্রতিবাদ জানাবে দেশের সাধারণ মানুষ এমন প্রত্যাশা দলটির নেতাদের।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে পুরানা পল্টন মোড়ে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ’ শিরোনামে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একচোখা হরিণের মতো দ্বিধাহীনভাবে সরকার যে ভুয়া নির্বাচন বাস্তবায়ন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জন্য ‘কাল’ হবে। তাদের চড়ামূল্য পরিশোধ করতে হবে।
দেশের মুক্তিকামী মানুষ বারবার বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও রুটি-রুজির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালেও গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাবে। নেতারা দেশের সব গণতান্ত্রিক ব্যক্তি ও শক্তিকে রাজপথের লড়াইয়ে সামিল হয়ে মানুষের হারানো ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান।
ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মুখে আছে। আমদানি বিল পরিশোধ ও রপ্তানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এমনকি জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে যাচ্ছে। তবুও সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দমন ও একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পুনর্বার ক্ষমতায় থাকার খেসারত যদি দেশের মানুষকে দিতে হয় তার পরিণতির দায়-দায়িত্বও শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।
মন্তব্য করুন