বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে আগেই হত্যা করেছে। এখন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়। গত ১৫ বছর ধরে এই দুঃশাসনের হাতে বাংলাদেশের জনগণ জিম্মি । মানুষের মানবাধিকার আজ ধ্বংসের পথে। অবৈধ সরকারের পাতানো এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলেন আমি ভারতের প্রার্থী। সুতরাং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন ও ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান রিজভী।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর কাফরুল এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফলের লক্ষ্যে কাফরুল থানা বিএনপি মিরপুর ১৩ নম্বর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের আশপাশ এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, জোর দবরদস্তি করে জনগণকে ধমক দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অবৈধ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা আর মামুরা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ, গোটা জাতি। তারা নিজেরা নিজেরা খুন করছে, নাশকতা করছে, মানুষ মারছে, আর এটা চাপিয়ে দিচ্ছে যারা গণতন্ত্ররে জন্য লড়াই করছে তাদের উপর । যারা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা জোর করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তাই অবৈধ সরকার যাতে জোর করে ক্ষমতায় না থাকতে পারে তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আপনাদের শান্তিপূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করুন, ভোট দিতে যাবেন না, অবৈধ নির্বাচন মানবেন না।
নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই ঠিক হয়ে গেছে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা ছাড়া আর কিছু নেই। ডামি এই নির্বাচন ইতিমধ্যেই ড্যামেজ হয়ে গেছে। ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তা সফল করুন। অবৈধ ডামি নির্বাচন বর্জন করুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, কাফরুল থানা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক আকরাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মন্টু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদ আউয়াল, থানা বিএনপির সদস্য ওহিদ আলম শাহাদাৎ কোয়েল, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আনছার আলী, ১৬নং সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেন ফারুক, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আসাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হাসান ইফাত, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মহসিন হোসেন, কাফরুল থানা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন, কাফরুল থানা মহিলা দলের আহ্বায়ক নাজমা আক্তার, কাফরুল শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা পারভেজ, কাফরুল থানার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদিরুল ইসলাম শাকিল, আব্দুল হক শেখ, ফরিদ, ছাত্রদল নেতা বাপ্পীসহ নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন