দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে লালকার্ড প্রদর্শন করেছে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ’। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানে গানে ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লালকার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি’ পালন করা হয়। বিকেল ৩টায় বিজয়নগর মোড় সংলগ্ন আলরাজি ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে কবি নজরুলের গানে গানে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন, জিরো পয়েন্ট, জাতীয় প্রেস ক্লাব ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, তপশিলের শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি- আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। একতরফা নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক বিপর্যয়সহ সামগ্রিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি, জনগণকেও প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। একদলীয় শাসন কায়েম করার জন্যই এই নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আহ্বান, নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করুন। আমরা এই নির্বাচনকে লালকার্ড প্রদর্শন করছি।
দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আবারও ক্ষমতা নবায়ন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কিসের নির্বাচন? যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই। আমরা এই নির্বাচন মানি না। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন বলেন, এই সরকার দেশকে অন্ধকারের অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। ২০১৪ সালে বিনাভোটে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে। এ দেশের যুব সমাজ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ২০২৪ সালে হতে দেবে না।
যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও সবুজ সেরনিয়াবাতের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সহ-সভাপতি সৈয়দ প্লাবন আহমেদ, হুসাইন নুর, ফয়সাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, ওসমান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্তাজুল ইসলাম, ঢাকা জেলা উত্তর যুব সভাপতি গাজী রুবেল রানা, হবিগঞ্জ জেলা যুব সাংগঠনিক সম্পাদক সায়মন হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন