আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে ‘এক দল- এক নেতার’ অধীনস্থ শাসন ব্যবস্থার দলিল বানাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন যুগপৎ আন্দোলনে শরিক ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
তারা বলেছেন, একদলীয় সরকারের অধীনে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে চূড়ান্ত একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার টার্গেট নিয়ে করা হচ্ছে। কারণ, নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ, ডামি প্রার্থী আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ। তাহলে গণতান্ত্রিক বা অংশগ্রহণমূলক বলতে নির্বাচন আয়োজনে কিছুই নেই।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর মগবাজার মোড়, মধুবাগ রেলগেট ও সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এলাকায় ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে নেতারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। জোর করে নির্বাচন করলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, জনগণের অর্থসম্পদ লুটপাট করে সেই টাকায় এখন সরকারি দল (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন করছে। জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচন মানবে না। ৭ তারিখে দেশের মানুষ ভোট বর্জন করবে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন শূন্যের কোটায়! একদলীয় শাসনব্যবস্থা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই ডামি মার্কা নির্বাচনে যে দল প্রার্থী সেই দলের নেতারাই ভোটার। সুতরাং এই সিন্ডিকেট নির্বাচনে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তিনি আগামী ৭ তারিখ জনগণকে ডামি ভোট বর্জনের আহ্বান জানান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির শফিউল বারী রাজু, জাহাঙ্গীর আলম সানি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি নুরুজ্জামান, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির লায়ন উমার রাযী, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন