নাশকতা এবং পুলিশের উপর হামলা মামলার আসামি বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। জানা যায়, তিনি অভিজাত ফ্যাশন হাউস ভাসাবির স্বত্বাধিকারী।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা জামানকে মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে গুলশানে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনায় তার পরদিন বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। জামান এছাড়াও এই মামলায় আসামি করা হয় ঢাকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো শাজাহানসহ ৩৪ জনকে।
পুলিশ বলছে, অগ্নিসংযোগ, জালাও পোড়াও এর মতো কর্মসূচি সফল করে তুলতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে এ ধরণের ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা তৈরি করেছে দলটি। তবে বিএনপির দাবি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে স্বেচ্ছায় যোগ যুক্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট-ভাষানটেক) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মরহুম আ স ম হান্নান শাহ। তার মৃত্যুর পর এই আসনে বিএনপির পক্ষে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে শুরু করেন কামাল জামান মোল্লা। এছাড়া দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সহযোগিতাও করেন তিনি। সমাজের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান বনানী এলাকার বিভিন্ন স্তরে রয়েছে তার যোগাযোগ। ব্যবসায়িক কারণে সবার কাছে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গুলশান, বনানী ক্লাবের মতো প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তিনি যুক্ত রয়েছেন।
ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট-ভাষানটেক) নির্বাচনী আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কামাল জামান মোল্লা। তার পোস্টার-ব্যানার ছাড়াও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
ঢাকা ১৭ আসনের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত কুড়িল বস্তিতে জামান মোল্লার নিজ এলাকা মাদারীপুরের বহু মানুষ বসবাস করেন। যাদের প্রায় সবাই এখানকার ভোটার। তাদের সমস্যা কিংবা যেকোনো উৎসবে এগিয়ে আসেন জামান মোল্লা। এইভাবেই তিনি গুলশান বনানী ক্যান্টনমেন্ট এবং ভাষানটেক এলাকায় বিএনপির কার্যক্রমকে সক্রিয় রাখতে ভূমিকা রাখেন।
মন্তব্য করুন