ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রিপনের নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ সুজন প্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশীদ মুন্নার সমর্থক ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সুজন প্রধান ডেমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ডেমরা থানাধীন রাজাখালীতে ঈগল মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প করতে নিষেধ করে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ। এরপরও কামরুল হাসান রিপনের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প করতে গেলে সুজন প্রধানকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান দেন সালাউদ্দিন আহমেদ।
ডেমরা থানায় দায়ের করা অভিযোগনামায় সুজন প্রধান উল্লেখ করেন, গত ২১ ডিসেম্বর রাত ১০টার একটু পরে ৬৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহাম্মেদ আমাকে কল করে ডেমরা থানাধীন রাজাখালী মসজিদ সংলগ্ন তার গরুর খামারে যেতে বলেন। তার কথামতো সেখানে গিয়ে দেখি তিনিসহ আরও কয়েকজন জুয়া খেলছেন। তখন সালাউদ্দিন আহমেদ আমাকে দেখে বলে তুই আমার সাথে ছাড়া আওয়াল ও রিপনের সাথে রাজনীতি করতে পারবি না। ঈগলের পক্ষে কোনো ধরনের ক্যাম্প দিবি না ও প্রচার করবি না। যদি দিস তাহালে তোর বুকে পাড়া দিয়া গলায় ছুরি চালাইয়া তোর মাথা আলাদা করে দিব। আমি যদি শুনি তুই ঈগল মার্কার পক্ষে কাজ করছিস তাহলে চাকু দিয়ে তোর ভুড়ি বের করে দেব।
সুজন প্রধান আরও অভিযোগ করেন, এরপর সালাউদ্দিন আহমেদ আমার নিকট চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এমন হুমকিতে আমি এবং আমার পরিবার আতঙ্কিত আছি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সুজন প্রধান কালবেলাকে বলেন, এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে আছি। গভীর রাতেও বাসার নিচে কিছু ছেলেপেলেকে অবস্থান করতে দেখি। যে কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে, মামলার আবেদন জানালেও ওসি মো. জহিরুল ইসলাম মামলা নেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমিও চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। সেখানে তাকে (সুজন প্রধান) হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রিপন কালবেলাকে বলেন, যেখানে শেখ হাসিনা নিজে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সেখানে এভাবে হত্যার হুমকি নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করবে। একই সাথে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। দলের নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতার আহ্বান জানাই।
ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, তারা আগ থেকেই পরিচিত। নিজেদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছিল সেটা গতকাল মিটমাট হয়ে গেছে। এখন আর সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশীদ মুন্নাকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন