বিজয়ের ৫৩ বছর উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে জেলা ও মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ পতাকা র্যালি কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচেনর তপশিল বাতিল, সব রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে এই কর্মসূচি দিয়েছিল দলটি। ঢাকাসহ সারা দেশে বিজয় র্যালি করায় দলেির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
শনিবার দুপুরে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে পতাকা র্যালি-পূর্ব সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জনিয়ার মুরাদ হোসেন, মাওলানা কে এম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, মুহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা, ডা. মজিবুর রহমান, মুফতী শওকত ওসমান, মুহাম্মদ ইউসুফ পিয়াস, রাকিবুল হাসান, সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন।
দলটির নেতারা বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পরও দেশবাসীর স্বপ্নপূরণ হয়নি। শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ হলেও এখন সর্বক্ষেত্রে চরম বৈষম্য চলছে। দেশবাসী একটি লাল-সবুজ পতাকা ছাড়া আর কিছুই পায়নি।
তারা বলেন, পাকিস্তান আমলে মানুষ ভোট দিতে পারত, এখন মানুষ ভোটও দিতে পারছে না। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য এখন অনেক বেশি। সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ হয়েছিলে। আজকে ইসলামী আন্দোলন ঘোষিত দেশব্যাপী বিজয় র্যালি কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি অনেক জেলায়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনায় ধিক্কার ও তামাশার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো এবং বিতর্কিত সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান। পরে একটি পতাকা র্যালি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদমফোয়ারা ঘুরে পল্টনমোড় হয়ে বিজয় নাইটিঙ্গেল হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করা বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের যথাযথ প্রতিদানের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
এ ছাড়াও ঢাকা জেলা উত্তর-দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর মহানগর ও জেলা, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা পূর্ব ও পশ্চিম, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী উত্তর ও দক্ষিণ, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা মহানগর ও জেলা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রংপুর মহানগর ও জেলা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর উত্তর-দক্ষিণ, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী। এ ছাড়া মাগুরা ও যশোর জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিজয় র্যালি করতে দেওয়া হয়নি বলে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানিয়েছে। এমনকি এসব জেলাগুলোকে পুলিশ প্রশাসন আগেই জানিয়েছে কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না। আবার কোন কোন জেলায় জমায়েত করলেও র্যালি করতে দেয়নি পুলিশ।
মন্তব্য করুন