ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় তিনি কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে কি কারণে এসেছেন এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর শামীম ওসমান জানিয়েছিলেন তাকে অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, 'আমি যদি বলি ধর বিএনপি, পাঁচ মিনিটের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিটা বাড়িতে হামলা হবে। কারা করবে, আমার কর্মীরা করবে। তাহলে দোষটা কার হবে, আমার না আমার কর্মীদের? আমার হবে। সুতরাং যারা অগ্নিসন্ত্রাসের নির্দেশ দিচ্ছেন, তারা ছাড় পাবেন না।'
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান। সংবাদ সম্মেলনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় দলীয় অনুসারীরা তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ১৫-২০ দিন সারাদেশে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, 'বাঘে ধরলে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না। তিনি ঘুড্ডির সুতা ছাড়তে থাকেন, তারপর একসময় টান দেবেন। জনগণকে কষ্ট দিলে তিনি মানবেন না। ধ্বংসাত্মক কাজ যেন কেউ না করে। তাহলে আমরা কাউকে রক্ষা করতে পারব না। হিমালয় পর্বত নড়ে যাবে, কিন্তু শেখ হাসিনাকে নড়ানো অনেক কঠিন।'
তিনি বলেন, '২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে।'
ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নেননি বলেও মন্তব্য করেন শামীম ওসমান।
২০০১ সালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিষোদগার করেন শামীম ওসমান।
মন্তব্য করুন