বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবিতে এবং একদফা দাবিতে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি। এরপর ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হরতাল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, যে দাবিতে আমাদের সংগ্রাম চলছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ যারা বন্দি রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা কারাগারে এক কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের ভেতরে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তাদের মুক্তির দাবিতে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
রিজভী বলেন, এই কর্মসূচিতে আগামী বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি আর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হরতাল বিএনপির পক্ষ থেকে আমি ঘোষণা করছি। অন্যান্য সমমনা দলগুলো এই কর্মসূচি পালন করবে।
‘একতরফা’ নির্বাচনে তপশিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো গত ১৯ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল এবং এরপর থেকে বিরতি রেখে ৪৮ ঘণ্টার ‘অবরোধ’ এর ধারাবাহিক কর্মসূচি করে। সর্বশেষ রোববার থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হওয়ার আগে এই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসলো।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দিলে তারা সরকারের পদত্যাগের একদফাসহ মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। সমমনা জোটগুলোও এই কর্মসূচির যুগপৎভাবে পালন করেছে। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে তারা প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শুক্রবার-শনিবার ছুটির দুইদিন বিরতি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি করে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত তারা ৭ দফায় অবরোধের কর্মসূচির ডাক দেয়।
মন্তব্য করুন