সরকারের একতরফা নির্বাচন বর্জনের আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শনিবার (২৫ নভেম্বর) জোটের পক্ষ থেকে রাজধানীতে আয়োজিত সমাবেশে ও মিছিলে বক্তারা এ আহ্বান জানান। সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, ঘোষিত তপশিল বাতিল ও একতরফা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় দলটি। এ সময় দলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের দমন-নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে বাম জোট।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে তা বাংলার জনগণ হতে দেবে না। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো আরেকটি যেনতেন নির্বাচন করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে লুটপাট অব্যাহত রাখতে চায়। নেতৃবৃন্দ সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল বাতিল করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হামলা, নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বাম জোটের মিছিল, সমাবেশে হামলা, নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পুলিশি হয়রনি বন্ধের দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ’র সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।
আগামী ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন