আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) চিঠির জবাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হক চুন্নু। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে- জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি চিঠিতে।
চিঠিতে জি এম কাদের সিইসিকে জানান, আপনাকে জানানো যাচ্ছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রধানের ক্ষেত্রে RPO এর Article 12, (3a) (b) এবং 16. (2) (3) অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি পাঠালেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
চিঠিতে জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছিলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জাতীয় পার্টি দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হবে। তবে দলের মহাসচিব সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তপশিল ঘোষণার পর গতকাল বুধবার তারা সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণার পর সব দলের অংশগ্রহণে সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আশা করছি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাপা কখনো নির্বাচন বর্জন করেনি। এবারও করবে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে।
দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার অবস্থা তুলে ধরে রওশদ এরশাদ বলেন, ‘অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কারাগারে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।’
তবে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘তপশিল হলেই সমঝোতার পথ শেষ হয়ে যায় না। এখনো সময় আছে।
তারা আশা ছাড়েননি জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, সব দলকে নিয়ে মিলেমিশে আলোচনার মাধ্যমে একটি পথ বের করা হবে। আমরা অনুরোধও করেছিলাম, এটি হলে ভালো হতো। সরকারি দল আলোচনার উদ্যোগ নিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে।’
মন্তব্য করুন