কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
১২ দলীয় জোটের সভা

৭ নভেম্বরের চেতনায় ফের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাজধানীর আসাদগেট জাগপা মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : কালবেলা
রাজধানীর আসাদগেট জাগপা মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : কালবেলা

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত রাখতে ৭ নভেম্বর আমাদের উদ্দীপনা জাগায়। ৭ নভেম্বরের চেতনা বুকে ধারণ করেই আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করব, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব এবং দেশকে স্বাবলম্বী ও সমৃদ্ধির ধারায় এগিয়ে নেব।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে রাজধানীর আসাদগেট জাগপা মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় বক্তারা এসব বলেন।

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। শেখ হাসিনা বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ চালু করতে শুরু করেছেন। এবারে ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগ আবারও দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাবে। বলা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষাগ্রহণ করে না। অন্যের কথা জানি না, আওয়ামী লীগ বারবার একই ভুল করছে।

বক্তারা ৭ নভেম্বরকে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিজয় উল্লেখ করে বলেন, এই বিপ্লবের সুফল এসেছে জিয়াউর রহমানের মতো ক্ষণজন্মা পুরুষের নেতৃত্বের ক্যারিশমায়। জিয়ার উপস্থিতি সেদিন অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। অদৃষ্ট আমাদের সহায় বলেই সেদিন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বের সুফল পেয়েছিল দেশ।

বক্তারা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, সরকার পতনের একদফা বাস্তবায়নের কাজটি আওয়ামী লীগ নিজেই ত্বরান্বিত করছে। সভ্য জগতে একটি দেশে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রাখা শুধু নিন্দাজনক নয় লজ্জা এবং হতাশার ব্যাপার। নিরস্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার যেভাবে যুদ্ধের আবহ তৈরি করেছে তাতে জাতিসংঘ এবং গণতান্ত্রিক দুনিয়ার নীরব থাকার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। নেতারা সরকারের প্রতি সকল রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দাবি করেন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ন্যাপ ভাসনীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের আল মাসুদ প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অ্যাপেক্সে চাকরির সুযোগ, পাবেন ফ্যামিলি ডিসকাউন্ট

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপহার বিতরণ

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪০ জন আ.লীগের নেতাকর্মীর নামে মামলা

বশেমুরবিপ্রবিতে বসছে পুলিশের স্থায়ী ক্যাম্প

জবি শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবি, ছবিতে জুতা নিক্ষেপ

আসছে ড্রামা সিরিজ ‘হাবুডুবু’

জনগণ এই সরকারকে দীর্ঘদিন মানবে না : মির্জা আব্বাস

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের পাশে সিরাজগঞ্জের ডিসি

জনবল নেবে আরএফএল গ্রুপ, থাকছে নানা সুবিধা

শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করল মেয়ের জামাই

১০

নদীর তীরগুলো বাণিজ্যিকভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

১১

বিবাহবিচ্ছেদের পর দুধ দিয়ে গোসল যুবকের

১২

আমেরিকা রক্ষায় ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছেন : ট্রাম্প

১৩

বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ : দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা 

১৪

স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

১৫

কী আছে পৃথিবীর রহস্যময় গভীর গর্তে

১৬

সেচযন্ত্র মেরামত করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ জনের

১৭

মহাসম্মেলন থেকে যে বার্তা দিলেন আলেমরা 

১৮

মার্কিন নির্বাচনে সবচেয়ে টার্নিং পয়েন্ট পেনসিলভানিয়া

১৯

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, থানায় মামলা

২০
X