গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বিরোধীদলসমূহের মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সরকার ও সরকারি দল পরিকল্পিত উসকানি ও আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে তাদের কোনো হুমকি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের জনস্রোত রোধ করতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় এ কথা বলেন তারা।
সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ২৮ অক্টোবর বিরোধীদলসমূহের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ- মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ও সরকারি দল পরিকল্পিত উসকানি ও আতংক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের ভয়কে তারা উত্তেজিত বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি দলের নেতারা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আস্থা হারিয়ে লাঠিসোঁটা আর লগি-বৈঠা নিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে চলেছে।
তারা আরও বলেন, কোনো উত্তেজিত বক্তৃতা আর হুমকি-ধমকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণজাগরণের জনস্রোতকে এবার আর রোধ করা যাবে না। সরকারকে জনগণের কণ্ঠস্বরকে অনুধাবন করে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সংকট উত্তরণে বিরোধী দলসমূহের সাথে আলোচনায় বসার আহবান জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
সভায় নেতারা পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসেবে আনসার বাহিনীকে গড়ে তোলার সরকারি উদ্যোগে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে সরকারকে এই অপতৎপরতা থেকে সরে আসার আহবান জানান।
সভা থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর বিকেল তিনটায় মৎস্যভবনের পাসের রাস্তায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চকে ওইদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে বলে মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র মঞ্চ এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, মঞ্চের নেতা হাবিবুর রহমান রিজু, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, আকবর খান, জিন্নুর চৌধুরী দিপু, বাচ্চু ভূইয়া, ফরিদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন