বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার এবং মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ২৫ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় মতিউর রহমান আকন্দকে উত্তরার বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বেআইনীভাবে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আইনসম্মত কোনো কারণ ছাড়াই শুধু রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দকে তার বাসা থেকে পুলিশ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মতিউর রহমান আকন্দ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী। তিনি গত ২১ অক্টোবর শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত কয়েক বছর পূর্বে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। তিনি গত কয়েকদিন ধরে শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থতায় ভুগছেন। এহেন অবস্থায় পুলিশ গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকেই তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। ২৫ অক্টোবর ডাক্তার দেখানোর জন্য তার হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে তিনি যখন বাসা থেকে নিচে নেমে আসেন, তখন আগে থেকেই বাসার নিচে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে তাদের সাথে যেতে বলে। অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে যাওয়া জরুরি বললে, পুলিশের দায়িত্বরত সদস্যরাই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবেন বলে এম্বুল্যান্স ডেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে হাসপাতালে না নিয়ে সরাসরি কোর্টে নিয়ে গিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার একটি পুরাতন মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখায়। ইতোপূর্বে তার নামে কোনো মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল না। অসুস্থ্য একজন হার্টের রোগীকে এভাবে বাড়ি থেকে পুলিশের হেফাজতে তুলে নিয়ে গ্রেপ্তার করার ঘটনা সম্পূর্ণ বেআইনি, অন্যায়, অনভিপ্রেত ও অমানবিক। পুলিশের হেফাজতে নেওয়ায় তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ যখন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে, সরকার তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে এবং গ্রেপ্তার করে জনগণের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে বন্ধ করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। অবিলম্বে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে মানবিক কারণে জামিন দিয়ে তাকে পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় তার যে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।
মন্তব্য করুন