দলীয় চেয়ারম্যানের পর এবার ভারত গেলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার এই সফর নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে বিমানযোগে ভারতে যান।
আকস্মিক তার এই সফর নিয়ে জাতীয় পার্টি অনেকটাই গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে। যদিও এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। গত ২০ আগস্ট তিন দিনের সফরে স্বস্ত্রীক ভারতে যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। এই সফরে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা ছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে জি এম কাদের ভারত যান।
সেখানে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে জিএম কাদের বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। দেশে ফিরে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সফরে বেশ কয়েকজন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তির সঙ্গে খোলামেলা’ আলোচনার কথা বললেও তাদের পরিচয় এবং বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি জাপা চেয়ারম্যান।
সংসদে বিরোধীদলের এই উপনেতা বলেন, বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। তবে এ নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্যের বিষয়ে কিছু বলতে চায় না তারা। ভারত বলেছে, এটা আপনাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা চাই আপনারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এটার সুরাহা করবেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সময়মতো একটি সুন্দর নির্বাচন চায় ভারত। তারা চায় নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশে যাতে কোনো ক্রমেই সহিংসতা, অরাজকতা না হয় বা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় অনিশ্চিত কিছু না হয়। এটা হলে ওনারা খুশি হবেন। কারণ, এখানে ওনাদের অনেক ধরনের বিনিয়োগ আছে। স্থিতিশীল বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ভারত বলেছে, এতে তাদের পক্ষে কাজকর্ম করা সহজ হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। দলটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে, নাকি বিএনপির সঙ্গে গাটছড়া বাঁধবে এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আগ্রহের শেষ নেই।
তবে জি এম কাদেরের সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্যের বিশ্লেষণ হলো, তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আলোচনা এও আছে, বিএনপির সঙ্গে হাত মিলাতে চায় জাতীয় পার্টি।
গত সপ্তাহে দলের সর্বশেষ প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে যৌথ সভায় অনেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছেন। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের চেয়ারম্যানকে যে কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই বৈঠকের চারদিনের মধ্যেই পার্টির মহাসচিবের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক।
অনেকেই বলছেন, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সর্বশেষ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানতেই তিনি সেখানে গেছেন। তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী রোববার রাতে কালবেলাকে বলেন, ব্যক্তিগত সফরে অর্থাৎ চিকিৎসার জন্য দলের মহাসচিব ভারতে গেছেন গত শনিবার।
মন্তব্য করুন