‘সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করতে চায়’ বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে পরিবারের দেওয়া আবেদন আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নাকচের প্রসঙ্গ টেনে সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে কৃষক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই সরকার, এই অনির্বাচিত গণবিরোধী সরকার তাকে হত্যা করতে চায়। তাকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আজকে দেশনেত্রীকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়।
ফখরুল বলেন, যে কথাগুলো তারা (সরকার) বলছেন, এই কথাগুলোর একটাই মাত্র উদ্দেশ্য... এরা আসলে কাপুরুষ, এরা ভীত। এরা জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসেন, তাহলে দেশনেত্রীর জন্য কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে তাদের তখতে তাউস ধ্বংস হয়ে যাবে।
ফখরুল আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য তারা (সরকার) বিভিন্নরকম আইন-কানুন দেখাচ্ছে। যখন আপনার (শেখ হাসিনার) কানের সমস্যা হয়েছিল, তখন কি আপনি আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন…যান নাই? আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন জীবন-মরণের সমস্যা তখন এসব কথা বলছেন কেন?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটাই কারণ যে, রাজনৈতিকভাবেই তারা বেগম জিয়াকে হিংসা করে, তারা বেগম জিয়াকে সুস্থ করতে চায় না, তারা বেগম জিয়াকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ লক্ষ্য একটাই যে, এ দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না, এ দেশে তারাই সরকার চালাবে, তারাই সরকারে থাকবে। তাদের কথা-বার্তা শুনলে মনে হবে তারাই শুধু এ দেশের মালিক আর আমরা সব প্রজা।
গত ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ওই আবেদন আইন মন্ত্রণালয় পাঠানোর পর গতকাল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব শর্তে তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত আছেন, তাতে আগের আদেশ চলমান থাকা অবস্থায় তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব না।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ‘শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ‘এক দফা’ দাবিতে এই কৃষক সমাবেশ হয়।
কাকরাইল থেকে ফকিরেরপুল পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কে হলুদ-সবুজ রঙের টুপি মাথায় দিয়ে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিলসহকারে এই সমাবেশে যোগ দেয়।
মন্তব্য করুন