বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদনের একটি কপি প্রকাশ্যে এসেছে। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এটি প্রকাশ্যে এনেছেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ওই চিঠির শেষাংশে বলা হয়, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে ‘অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে’ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সব শর্ত শিথিলপূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশ গমনের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদনটি করেছেন।
এর আগে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাইবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হয়েও এখন যে মুক্ত অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। বিএনপি যদি আবেদন করে, পরে সেটা দেখা যাবে।’
তার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে আবেদন করার কথা বলে সরকার সময়ক্ষেপণ করে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে আদালতের আদেশের প্রয়োজন নেই। সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে অস্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়েছেন। নির্বাহী আদেশ দিয়েই তাকে বিদেশ পাঠাতে পারেন।
মন্তব্য করুন