কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাইবার নিরাপত্তা আইন গণবিরোধী ও বিপজ্জনক : মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরনো ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরনো ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদে চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিল পাশ দেশের একটি নিকৃষ্ট কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। পূর্বের ডিজিটাল অ্যাক্টের চেয়েও সাইবার আইনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও তল্লাশি এই আইনকে বিরুদ্ধমত দমনে এক বিপজ্জনক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিতর্কিত ধারাগুলো সাইবার নিরাপত্তা বিলে প্রায় সব একইভাবে রাখা হয়েছে। এটি নতুন বোতলে পুরাতন মদ। এই বিলটি পাশের সাথে সাথে মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ রয়েই গেল। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এ ছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই আইনের অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এটির অপপ্রয়োগের সাজা সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। মূলত ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লুণ্ঠন, সম্পদ পাচার ও নিপীড়ন-নির্যাতন আড়াল করার জন্যই এই কালো আইন করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোনো ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রচার করলে তা হবে অপরাধ। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু প্রকাশ করেন যা বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটানোর উপক্রম হয়, তা হবে অপরাধ। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

তিনি বলেন, এই আইন বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিকৃত ব্যবহার হতে পারে। যেকোনো মুক্তচিন্তা ও সত্য প্রকাশের জন্য প্রতিটি নাগরিককে অন্তত ২৫ লাখ টাকা মজুদ এবং গ্রেফতার, হয়রানি ও কারাদণ্ডের ঝুঁকি নিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সত্য প্রকাশের দায়ে প্রতি মুহূর্তে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকে কেবলমাত্র নিষেধাজ্ঞার খড়গের নিচেই থাকতে হবে না পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নানাভাবে হয়রানি ও জুলুমের শিকার হবে। গণতন্ত্রকে আরও বেশি সংকুচিত করার জন্যই এই আইন পাশ করা হয়েছে। ম্যান্ডেটবিহীন আওয়ামী সরকার গোটা জাতিকে বোবা বানানোর জন্যই একের পর এক গণবিরোধী কালো আইন প্রণয়ন করছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের ন্যায় কণ্ঠরোধের এই আইন ব্যাপকভাবে গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। অবৈধ সরকার ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে ওঠার শঙ্কায় নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের ন্যায় জুলুমের আইন তৈরি করেছে। আমি এই কালো আইনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোসহ অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনের ‘অ্যাপ’ চান শাওন

আন্দোলনে গেলেই মিলবে এক লাখ টাকা

ঢাকা যেন সংঘাত-সহিংসতার শহর!

মোল্লা কলেজে হামলায় ৩ জন নিহতের দাবি

ঢাকায় অটোরিকশা চলাচল নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের স্থিতাবস্থা

ইসরায়েলে বৃষ্টির মতো রকেট হামলা, চোখে অন্ধকার দেখলেন নেতানিয়াহু

পার্থে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারতের দুর্দান্ত জয়

তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ডেমরা-যাত্রাবাড়ী

টাকার বিনিময়ে শাহবাগে বাসভর্তি মানুষ নিয়ে আসে আ.লীগ নেতা

লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল

১০

ঢাকায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে সারজিসের কড়া বার্তা

১১

সরকারি সেবা স্বচ্ছ ও জনমুখী করুন : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

লাখ টাকার লোভ দেখিয়ে শাহবাগে জনসমাগম করার নেপথ্যে কারা?

১৩

একনেকে ৬ হাজার কোটি টাকার ৫ প্রকল্প অনুমোদন

১৪

জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

১৫

হত্যা মামলার আসামি নোয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার

১৬

দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

১৭

১৭ বছর রেমিট্যান্স পাঠানো হান্নানের মরদেহ দেশে আনতেও জোটেনি সরকারি সাহায্য

১৮

রিকশাচালকদের বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন ডিএমপি কমিশনার

১৯

কী হচ্ছে পাকিস্তানে, মুক্তি পাবেন ইমরান খান?

২০
X