যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটসহ সরকারবিরোধী অন্যান্য জোটের যুগপৎ আন্দোলন এবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের উৎসবে পরিণত হবে। এই সরকারের পতন দেখার জন্য শহর ও গ্রামের মানুষ আনন্দ উৎসব করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আসাদগেটের জিইউপি মিলনায়তনে যুব জাগপার ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও দেশের গণতান্ত্রিক সংকটে যুবকদের করণীয়’- শীর্ষক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তাসমিয়া প্রধান বলেন, দেশজুড়ে যখন গণতন্ত্রের পিপাসা লেগেছে, তখন জনগণ ঘরে বসে থাকবে- এটা ভাবা আওয়ামী লীগের জন্য চরম বোকামি হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উচিত দেশের যুগপৎ আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়ে এবং গণদাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। অন্যথায় অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূস নোবেল পেলেন, শেখ হাসিনা নোবেল পেলেন না। এই ক্ষোভ মেটাতে গিয়েই আজ দেশের গর্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার শিকার। তিনি স্বাধীন দেশে বিচারহীনতায় ভুগছেন। মূলত এই সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের উচ্চ মর্যাদাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে! আজ দেশের গুণীজনরাও অসম্মানিত বোধ করছেন।
যুব জাগপাসহ দেশের যুবসমাজকে আরেকটি নতুন ‘যুদ্ধের জওয়ান’ আখ্যা দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তাসমিয়া প্রধান।
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সাবেক ভিপি মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাসমত উল্লাহ, সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ঢাকা মহানগর জাগপার সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম হাসু, মো. জিয়া উদ্দিন, যুব জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা আশিক মোল্লা, আসাদুজ্জামান নূর, মো. দিদার উদ্দিন, বিলকিস আক্তার, মাহফুজা বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন