শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বর্তমানে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ক'দিন আগে হঠাৎ করে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারের অবনতি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
এদিকে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর তিনি হাসপাতালে বেগম জিয়ার কেবিনে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
রোববার রাতে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, ‘কয়েকদিন ধরে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সে কারণে বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের লিভারের সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে। প্রেসার ও ডায়বেটিসসহ স্বাস্থ্যের প্রায় সবকটি প্যারামিটারই ওঠানামা করছে। এন্টিবায়োটিক দিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। গত দুইদিনে আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অনেকগুলো টেস্ট করা হয়েছে। বোর্ড কয়েকটির রেজাল্ট দেখে উদ্বিগ্ন।'
তিনি বলেন, লিভার সমস্যার আসলে শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু একাধিক জটিলতা থাকায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্য তাকে বারবার মাল্টি ডিসিপ্লিনারি উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম রাতে কালবেলাকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাশুড়ির সেবার জন্য আগামী সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি ঢাকায় আসতে পারেন। গত ২৫ দিন ধরে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এর আগে গত ১২ জুন বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তখনো তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়েছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার জটিলতাসহ আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, ডায়াবেটিস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
মন্তব্য করুন