ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, আন্দোলন ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বর্ণাঢ্য র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়- এটি দেশমুক্তির আন্দোলন, গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। তিনি বলেন, আগে যখন পুলিশ লাঠিপেটা করত, তখন মানুষ পালিয়ে যেত। এখন প্রতিবাদ করছে, প্রতিরোধ করছে। এটা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে, যতক্ষণ না এই সরকারের পতন হয়।
যুবদল সভাপতি বলেন, আমাদের এই আন্দোলনের ইস্যু সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমাদের ইস্যু একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ নিজের ভোট নিজে দিবে, ইভিএমের মাধ্যমে না। তাই আমাদের ইস্যু পরিষ্কার। এই ইস্যু যুবদলের, এই ইস্যু ছাত্রদলের, সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও সারা দেশের মানুষের। তাই আমি আহ্বান জানাব- যারা এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসুন।
টুকু বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই র্যালির মধ্যে দিয়ে সমগ্র দেশবাসী এবং বর্তমান সরকারকে জানিয়ে দেব, বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই দলকে বিকশিত এবং জনগণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বেগম খালেদা জিয়া, যিনি এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করুন, যাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে একটি দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদী ও ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী এই সরকারকে পরাজিত করে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
পরে র্যালি শুরু হয়। র্যালিতে খোলা ট্রাকে করে বিএনপির আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহজাদা মিয়া, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, মীর সরফত আলী সপু, নাসির উদ্দিন অসীম, ডা. রফিকুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম বকুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন