আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে ‘হয়রানি’ করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে, সেই প্রশ্ন রেখেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৭ এপ্রিল) নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালাস পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রাজধানীর শাহবাগ থানার এ মামলায় আমীর খসরুসহ পাঁচজনকে খালাস দেন।
খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ৪২টা মামলা। বিগত বছরগুলোয় সপ্তাহে দুই দিন তো আমাদের কোর্টেই সময় দিতে হত। এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কত দিন লাগবে জানি না। আজ একটার রায় হয়েছে। আরও অনেক মামলা আছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু আমি না, বিএনপির ৬০ লাখের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের জেলে নেওয়া হয়েছে। গুম, খুন করা হয়েছে। তাদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। চাকরি-ব্যবসা ছাড়তে হয়েছে।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই লোকগুলোর কী হবে। তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে। রাষ্ট্র কি এগুলোর ক্ষতিপূরণ দেবে? তাদের সম্পর্কে তো কোনো কথা শুনতে পাচ্ছি না। গণতন্ত্রের আন্দোলনের যারা মূল ভিত্তি সৃষ্টি করেছিল, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছর ধরে, তাদের কী হবে? তাদের কোনো খবর নিচ্ছে, সেটা তো দেখতে পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে যারা এ আন্দোলন এ জায়গায় নিয়ে এসেছিল, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, ১৫/১৬ বছর ধরে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে, সবকিছু হারিয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমার মনে হয় এ বিষয়টা আমাদের সকলের ভাবা দরকার।’
বিচার বিভাগের প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, ‘মুক্ত বিচার বিভাগ, স্বাধীন বিচার বিভাগ। যেটার জন্য আমরা ১৫/১৬ বছর লড়েছি। বিচারের নামে যে প্রহসনে লাখ লাখ মানুষ আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে, জীবন হারিয়েছে, জেলে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে। পুলিশ কাস্টডিতে মারা গেছে। এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা ছাড়া একটি দেশের গণতন্ত্র টিকতে পারে না।’
মন্তব্য করুন