চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া আক্তারের শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান পটুয়াখালীতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানী গ্রামে যায়।
এ সময় লামিয়া আক্তারের পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রিজভী। পাশাপাশি শহীদ জসিম উদ্দিনের বৃদ্ধ বাবা সোবহান হাওলাদারের (লামিয়া আক্তারের দাদা) হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি।
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমান।
এদিকে স্থানীয় স্কুলমাঠে রাত পৌনে ৮টায় অনুষ্ঠিত লামিয়া আক্তারের জানাজায় রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি অংশ নেন। পটুয়াখালী জেলা, দুমকি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী এবং পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও জানাজায় অংশ নেন।
লামিয়া আক্তারের জানাজা শেষে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে শহীদ তার বাবা জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকায় শেখেরটেকের ৬ নম্বর রোডের ভাড়া বাসা থেকে লামিয়া আক্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে আরও জানানো হয়, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ জসীম উদ্দিনের কন্যা তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে দুর্বৃত্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ১৭ বছরের এই কিশোরী সম্ভ্রমহানির শিকার হন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজন গ্রেপ্তার হয়েছিল। এ ছাড়া যারা চিহ্নিত অপরাধী তারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশার মধ্যে ছিলেন ভুক্তভোগী কিশোরী। এসব হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন