সংস্কার ইস্যুতে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ঐকমত্য তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
রোববার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে জোনায়েদ সাকি বলেন, এখন পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনদের যে আলোচনা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে যতটুকু ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে নথিবদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার প্রস্তাবে এখনও পর্যন্ত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সেগুলো নিয়ে অধিকতর আলাপ-আলোচনা চালিয়ে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ঐকমত্য তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানান তিনি। একইসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকেও এই ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন সাকি।
জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের পরে নিতে হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাকি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে সময়সীমার কথা বলেছেন, তা আরও নির্দিষ্ট হওয়া দরকার।
সাকি আরও বলেন, সংস্কার পরিষদ কিংবা সংস্কার সভা করতে হবে জনগণের ম্যান্ডেট (মতামত) নেওয়ার জন্য। এখন অনেকে বলছেন সংবিধান এবং সংবিধান সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নির্বাচনের আগে না পরে হবে; আগে করার সুযোগ নেই। এটা জনগণের ম্যান্ডেড এবং একটা সংসদ ছাড়া আপনি সংবিধান বদলাতে পারবেন না। সংবিধান এবং সংবিধান সংশ্লিষ্টের বাইরে অন্যান্য প্রশাসনিক যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে করতে পারে। পরবর্তী সংসদ এবং সরকার সেগুলোকে জাস্টিফাই (ন্যায্যতা) করবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। অন্যদিকে বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসান রুবেল, দেওয়ান আবদুর রশিদ, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, শ্যামলী সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন