নারী সংস্কার কমিশনের ইসলাম ও মানবতাবিরোধী প্রস্তাবনার প্রতিবাদ জানিয়েছে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী ও নৈতিকতাবিরোধী প্রস্তাবনাগুলো দেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ৯০% মুসলমানের এদেশে পশ্চিমা অপসংস্কৃতির এজেন্ডা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।
তারা বলেন, ইসলামে যিনা-ব্যভিচার হারাম এবং তা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। কেউ যদি এসবকে হালাল মনে করে, তার ইমান থাকবে না। অতীতে অনেক জাতি এ ধরনের পাপের কারণে আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়েছে। পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার যে প্রস্তাবনা এসেছে, তা শুধু অনৈতিক নয় বরং ইমান ও চরিত্রবিনাশী। এমন জঘন্য প্রস্তাবনা কোনো সভ্য ও ধর্মভীরু জাতি মেনে নিতে পারে না।
তারা আরও বলেন, আমরা ঢালাওভাবে নারী-নীতির বিরোধিতা করি না। তবে কোনো নীতি ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থি হলে তা বরদাশত করা হবে না। সংস্কার কমিশনের উচিত ছিল পতিতাবৃত্তি নির্মূলের প্রস্তাবনা দেওয়া, কিন্তু তারা তা না করে পতিতাদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি করে নারী জাতিকে অবমাননা করেছে। এই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, কমিশনের ভাষা, যুক্তি ও প্রস্তাবনা একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের পক্ষপাতমূলক প্রতিফলন, যা দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় আকিদা, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যসহ নারী জাতির মর্যাদার পরিপন্থি। কমিশনের প্রতিবেদনে বিজাতীয়, ধর্মনিরপেক্ষ এবং পরিবারবিচ্ছিন্ন চিন্তার প্রতিফলন। এ দেশের নারীদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা এই কমিশনের নেই।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘পুরুষের ক্ষমতা ভেঙে গড়ো সমতা’ এ ধরনের স্লোগান ইসলামবিদ্বেষী ও সমাজবিচ্ছিন্ন চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। অতএব, এই বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন এবং তাদের প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
পরিশেষে, নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংস্কারের নামে এমন প্রস্তাবনা দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার যে চেষ্টা চলছে, তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। দেশের ইমানদার জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।
মন্তব্য করুন