জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের অনেক আইনজীবী জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, অনেক আইনজীবী আহত হয়ে জেলখানায় গিয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের অন্যতম হত্যাকারী বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক এখনো বাসায় বসে আছেন। আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আইনজীবী সমাজের প্রশ্ন, গণতন্ত্র হত্যাকারী খাইরুল হক এখনো আইনের আওতায় আসেননি কেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে ডাল মে কিছু কালা আছে কিনা। কেন খাইরুল হক আইনের আওতায় আসেননি প্রশ্ন রাখছে আইনজীবী সমাজ। বাংলাদেশের মানুষ সংশয়ে আছে, দ্বিধান্বিত আছে। প্রত্যাশা করব আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। বাংলাদেশের মানুষের আশঙ্কা খাইরুল হকের সঙ্গে কোনো কিছু হয়েছে কিনা অনতিবিলম্বে তা দূর করবেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে সারা দেশ সংস্কার সংস্কার করছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংস্কারের মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন তখন সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। তখন সর্বপ্রথম তিনি সংস্কার করেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সংস্কার করেছিলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে, সংস্কার করেছিলেন কূটনৈতিকভাবে। চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র বাংলাদেশকে তখনো স্বীকৃতি দেয়নি। শহীদ জিয়া তার কূটনৈতিক সফলতার মাধ্যমে সংস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রকৃত সংস্কারক বা প্রবক্তা হচ্ছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
কায়সার কামাল বলেন, পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন। তখন তিনি আরেক সংস্কার শুরু করেন। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এমন অসংখ্য সংস্কার বিএনপি করেছিল।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা ইউনিটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম। সঞ্চালনা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফারুক।
মন্তব্য করুন