বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা যুগের পর যুগ চলবে তাই বলে কি নির্বাচন হবে না? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেছেন- সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। কারণ, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের বানানী থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আট মাস পার হলেও এখনো পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ চলছে। আর এই সরকার দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো স্থিতিশীলতা আনতে পারে নাই। কারণ রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি জায়গাতে স্বৈরাচারের দোসরগুলো বসে আছে। যার ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজমান করছে। সুতরাং সবকিছু স্বাভাবিক এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচারের জন্য দেশে নির্বাচন দরকার।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি মহলকে ইঙ্গিত করে আমিনুল হক বলেন, এই সরকারের কারো মধ্যে ক্ষমতার মোহ লেগে বসেছে। তাই তারা অনির্বাচিত অবস্থায় স্বৈরাচারের মতো ক্ষমতায় থাকতে চায়, যা এদেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। তাই নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এটা অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মহল বুঝে গেছে, তাই তারা ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারসহ একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বলব, ভুলে যাবেন না- আপনারা যদি দুর্নীতি করেন, আপনারা যদি অপরাধী হন, আপনাদেরও বিচার কিন্তু এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে। আপনারাও কিন্তু ছাড় পাবেন না। তাই জনগণের ভাষা বুঝুন। আমিনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরের ক্ষোভ ৫ আগস্টে মানুষ প্রকাশ করেছে। কারণ, তারা এই দীর্ঘ সময় ভোট দিতে পারেনি। মানুষ চায় গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহবায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় বানানী ও শিল্পাঞ্চল থানার মধ্যকার ম্যাচে বনানী থানা ৩-১ গোলে জয়ী হয়।
মন্তব্য করুন