ন্যাশনাল কন্টিস্টিটিউশন কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবে বিএনপি একমত নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে মধ্যাহ্ন বিরতির পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা একটা নতুন ধারণা বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচারে বা সংসদীয় কালচারে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উভয় কক্ষের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতিসহ আরও কয়েকজনের কথা বলা আছে। এই বডিটার হাতে রাষ্ট্রের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ যেমন- সব কমিশন, তিন বাহিনী প্রধান থেকে শুরু করে পিএসসি, দুদকসহ আরও যেসব সাংবিধানিক পদ আছে এগুলো- আমরা একমত নই।
‘কারণ কি? আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের মধ্যে এক্সিকিউটিভ ফাংশনটাকে এত বেশি লিমিট করা হবে যে, এক্সিকিউটিভ ও প্রধানমন্ত্রীর যে নামেই ডাকি তাদের আর রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এখতিয়ার বা রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে। অথচ রেসপনসিবিলিটি থাকবে ইলেক্টেড প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কাছে এবং সংসদের কাছে সেই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর অথচ তার কাছে তেমন কোনো পাওয়ার দেওয়া থাকল না।’
এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর রাখার পক্ষে বিএনপি মত দিয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন তিনি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এই প্রস্তাবে বিএনপি একমত জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা বলেছি, পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, যদি দুইবারের পর একবার গ্যাপ হয় তার পরবর্তীকালে জনগণ যদি সেই দলকে নির্বাচিত করে সেই পার্টি মেজরিটি পেয়ে যদি ডিসাইড করে তাহলে সেই একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতেও পারেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে যে, কেন আপনারা ধরে নিচ্ছেন যে, সেইম লিডার বারবার হবেন। আমরা অপশনটা রাখতে চাই যে, বাধ্যবাধকতা করা যাবে না।
এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৯০ দিনের জন্য ট্যাম্পারারেলি আন ইলেক্টেড গভর্নমেন্ট চান কেন? দিস ইজ ডটট্রেইন অব ন্যাসেসিটি। আমাদের পলিটিক্যাল হিস্ট্রিতে ও কালচারে দেখা গেছে, উইথআউট কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট আমরা কোনো ইলেকশনই অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু করতে পারি না। যতদিন পর্যন্ত আমরা সেই কালচারে উপনীত না হতে পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকারের বিধানটা রাখা উচিত। এই ভোটের জন্য আমরা ১৫ বছর আন্দোলনও করেছি।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিএনপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল।
মন্তব্য করুন