বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংসদ নেতা এবং পার্টি প্রধান একই ব্যক্তি হতে পারবে না বলে প্রস্তাব করেছে কমিশন। আমরা এটা ওপেন রাখতে বলেছি। অপসনটা পলিটিক্যাল পার্টির এবং মেজরিটি পার্টি অব দ্য পার্লামেন্টের অপসনটা রাখা উচিত। কারণ সেই মেজরিটি পার্টির সংসদে সংসদীয় দলের নেতা সেটা অন্য বিষয়, পার্লামেন্টের ভেতরের বিষয় না।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মধ্যাহ্ন বিরতির পরে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আর পার্টির যে প্রধান তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এই প্র্যাকটিসটা তো আমরা দেখি না। আমরা যদি ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ অব গভর্নমেন্টে দেখি- ব্রিটেনের বর্তমান প্র্যাকটিস দেখি যে, পার্টি চিফ প্রধানমন্ত্রী হন। এক্ষেত্রে এটা একটা ডেমোক্রেটিক প্র্যাকটিস তাতে কোনো অসুবিধা নেই। সেটা পার্টির স্বাধীনতা, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা, ডেমোক্রেটিক প্র্যাকটিসের স্বাধীনতা।
সুষ্ঠু ভোটে যে সংসদ নির্বাচিত হবে সেখানে আমাদের মনে রাখতে হবে- জনগণ কাকে চায়। জনগণ হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং সেটা পার্লামেন্ট মেম্বার ও মেজরিটি পার্টির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এখানে প্রশ্ন এসেছে যে, লিডার অব দ্য হাউজ কি একই ব্যক্তি হবে। আমরা বলেছি যে, পার্টি চিফকেই যে প্রধানমন্ত্রী করবে সেটা আরেকজনকেও তো করতে পারে, অপশন থাকা উচিত। মেজরিটি পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী হলেও যে সংসদ নেতা হবে কি হবে না, অন্যজন হতে পারে সেটাতেও অপশন রাখা উচিত। আমরা এসব অপশন খোলা রাখতে বলেছি ডেমোক্রেটিক প্র্যাকটিসের জন্য।
সালাহউদ্দিন জানান, উচ্চ কক্ষে আসন সংখ্যা ১০০তে রাখার বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে বিএনপি। উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি, কারা আসবে, আনুপাতিক হারে আসবে কিনা সে বিষয়ে বিএনপি বলেছে যে, আগে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সংশোধনীটা সংসদে গৃহীত হোক, দ্বি-কক্ষ গঠন হলে পরে সংসদে আলাপ করে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিক করা ভালো হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো প্রাথমিকভাবে সংসদে উপস্থাপনের কথা ওনারা বলেছেন। আমরা বলেছি, এটা সুবিবেচনা প্রসূত নয়। তাহলে কোনো চুক্তি রাষ্ট্র যেমন বাণিজ্যিক চুক্তি আছে, বাইলেটারাল চুক্তি, বিনিয়োগ চুক্তি আছে যেগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নরমাল প্র্যাকটিস করা হয়।
চুক্তির পরে সংসদে উপস্থাপনের যে বিধান সেটা আমরা যেন প্রয়োগ করি। এক্ষেত্রে আমরা বলেছি যে, ডিফেন্স যেসব চুক্তি হয়ে থাকে যেগুলোকে আমরা বলি যে, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তি সেগুলো ক্লোজড সেশনে করাটাই উত্তম।
ন্যায় পাল নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএনপি বিদ্যমান আইনের যথাযোগ্য যুগোপযোগী করার জন্য নীতিগতভাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত হয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলেছি যে, রাষ্ট্রপতিকে কি কি বিষয়ে ক্ষমতায়িত করে আইন প্রণয়ন করা যায় সেসব কিছু বিষয়ে এবং নিয়োগের কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। সেগুলো নতুন আইন প্রণয়ন করে সংসদ প্রণীত করা যাবে। সেক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স এবং রাষ্ট্রপতিকে মোর এ্যামপাওয়ার করা- সেটা নিশ্চিত করা হবে।
মন্তব্য করুন