গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, এ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। তাদের চতুর্দিকে অন্ধকার আর অন্ধকার। কোথাও পালানোর পথ নেই, কারণ গণতান্ত্রিক বিশ্বে তাদের কোনো বন্ধু নেই। সব দরজা বন্ধ।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া, চীন ও ভারত এই সরকারের অবৈধ কার্যক্রমকে প্রকাশ্যে-গোপনে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, এসব দেশের ভিনদেশি আধিপত্য-আগ্রাসন এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতেই হবে।
আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কালো পতাকা গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া। সরকারের পদত্যাগের একদফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। রেজা কিবরিয়া বলেন, এ সরকারের গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো বন্ধু না থাকলেও তারা চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো কিছু রাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে। এসব দেশ বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিতে বামপন্থি আগ্রাসন চালিয়েছে। যার প্রমাণ গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে আছে। আমরা ওইসব রাষ্ট্রগুলোকে বলতে চাই- আমরা বেঁচে থাকতে এ দেশে ভিনদেশি আধিপত্য-আগ্রাসন মেনে নিব না। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও সুশাসনের জন্য প্রাণপণ লড়াই-সংগ্রাম করব।
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় দেশের বাজারে দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা পরিবর্তন চায়।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সময় শেষ। দেশের মানুষ আপনাদের অপশাসন আর মেনে নেবে না। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ বিল্লার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান, সাবেক জজ শামসুল আলম খান চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার জিসান মহসীন, মুফতি সুহাইবি; যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ খান, তারেক রহমান, সাকিব হোসেন, সামসুদ্দিন, সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিরিন আকতারসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন