বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের বিপরীতে দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, অপরাধের বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলসমূহের জনগণের কাছে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
এতে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে সরকারের এক ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্বও তৈরি হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা থাকার কথা নয়, সে কারণে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রাখারও কোনো অবকাশ নেই।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বগুড়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা প্রতিনিধি সভায় সাইফুল হক এসব কথা বলেন। শহরের দত্তপাড়া মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাইফুল হক বলেন, গত ষোল বছর দেশ পরিচালনায় মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের কথা মানুষ ভুলতে বসেছে। শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-আন্দোলনের প্রধান বিষয় ছিল ভোটের অধিকারসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি। গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও যদি আবার ভোট বা নির্বাচনের দাবি তুলতে হয়, সেটা বিব্রতকর।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপর আস্থা প্রকাশ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা রাজনৈতিক দল ও জনগণকে আশ্বস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
আবদুর রউফ এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনসার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ, পার্টির টাঙ্গাইল জেলার নেতা মাহমুদুল হাসান পিপলু, গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, নীলফামারী জেলার নেতা অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন, মোশাররফ হোসেন নান্নু, পার্টির বগুড়ার সংগঠক সাইফুল ইসলাম, মনি সরকার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আকস্মিকভাবে সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এটা সাধারণ মানুষের উপর নতুন অত্যাচারের শামিল। অবিলম্বে তারা মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন