আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি প্রাণের উৎসব। ফ্যাসিবাদি অপশক্তি বাঙালি জতিসত্ত্বা বিরোধী নানা অনুসঙ্গ যুক্ত করে এতদিন গণমানুষের ঐক্য বিনষ্ট করে নানা বিভক্তি তৈরি করে রেখেছিল। দীর্ঘ সময় বাংলা নববর্ষ আটকে ছিল ধর্মীয় বিভক্তি, বাঙালি-বাংলাদেশি বিভক্তি, ধর্মনিরপেক্ষতার বিভক্তি নিয়ে।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখাতে হবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বেশেষে আমরা এই মাটির সন্তান। এই মাটির সকল সংস্কৃতিই আমাদের ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের সংশয় কাজ করছে। অনেকে মনে করেছে এই সরকার নির্বাচন না দিয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এই ধরনের কোনো বক্তব্য আমরা পাইনি। কাজেই এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ-জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হোক নতুন বছরে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবি পার্টি আয়োজিত বর্ষবরণ শোভাযাত্রার আগে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এবি যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রাটি উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. সুকোমল বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও শিল্পী আরজুমান্দ আরা বকুল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আলতাফ হোসাইন, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স।
শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করে ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, এবি পার্টি আমার দেহ ও মনোজগতের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবি পার্টির পক্ষেই সম্ভব। সকল ধরনের সংস্কৃতিকেই এবি পার্টি ধারণ করে। রাষ্ট্রযন্ত্র বিনির্মাণে এখন এবি পার্টির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। আজকে নববর্ষের যাত্রার দিন, অতীতের জরাজীর্ণতা ছাড়িয়ে নতুনের যাত্রা, এসব স্মৃতিকে নিয়েই আমাদের নতুন বাংলাদেশ। আগামীর নতুন স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতেই নববর্ষের যাত্রা। তরুণের আগমন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে বলে আশা করেন তিনি।
শিল্পী আরজুমান্দ আরা বকুল বলেন, বাংলা নববর্ষ পুরাতনকে বিদায়ের করে নতুনকে অবগাহন করার দিন। আজকে সাজানোর দিন, ঘর সাজাবো, মন সাজাবো সর্বোপরি আমরা দেশকে সাজাবো। যা কিছু চির সুন্দর তার সাথেই যেন আমরা সবাই থাকি সেই আহবান তিনি জানান।
এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় শ্যাডো কমিটি বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস ইসলাম খান নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ খান, গাজীপুরের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ব্যাপারী, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, আনোয়ার ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক আজিজা সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন রমিজ, তানভীর হোসাইন কেফায়েত, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সহ সম্পাদক মাসুদ জমাদ্দার রানা , সহ কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরন চৌধুরী, আব্দুল হালিম নান্নু, মশিউর রহমান মিলু, সহ অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহসম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, আমেনা বেগম, যুব পার্টির মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাহমুদ আজাদ, পল্টন থানা আহবায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, যুবনেতা ইমরান হোসেন শিবলু, যুব নেত্রী ইশরাত জাহান লীজা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন