বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইঙ্গ-মার্কিন ষড়যন্ত্রের কারণে আজকে ফিলিস্তিনি জনগণ গণহত্যা-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক। তার কোনো প্রতিকার আমরা দেখছি না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদী র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা, নৃশংসতা ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানী ঢাকায় এই কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের কোনো রেজুলেশনের তোয়াক্কা ইসরায়েলিরা করে না, জাতিসংঘের কোনো সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেয়নি। আজকে সারা বিশ্বে এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ব্যাপকভাবে আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু এই গণহত্যা বন্ধের কোনো ইশারা-ইঙ্গিত দেখছি না। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এই নির্মমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিশ্বের কয়েকটি পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে। আজ ফিলিস্তিনের মানুষ নিজেদের দেশেই পরবাসী। অথচ মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই। তারা মুখ খুলছে না, অবস্থান নিচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিরোধীদলের ওপর নিপীড়নের জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কিনেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সমাবেশ শেষে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক, মগবাজার হয়ে বাংলামোটর সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাওরানবাজার মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে ফিলিস্তিনের পতাকা, ফিলিস্তিনি শিশুদের কাফন মোড়ানো প্রতিকী মরদেহসহ নানা সজ্জায় সজ্জিত হয়ে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সারা পথজুড়েই ছিল ব্যাপক জনসমাগম ও প্রতিবাদী স্লোগান।
মন্তব্য করুন