ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
সোমবার (৩১ মার্চ) শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আবু হানিফ বলেন, গত ১৬ বছর বাংলাদেশের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এমন জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশেষ করে বিরোধী মতের লোকেরা ওইভাবে অংশ নিতে পারত না, নানা সীমাবদ্ধতা কারণে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে। আমরা এবার নতুন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছি। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশে মানুষের মাঝে সামাজিক সম্পর্কগুলো অটুট থাকুক।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও রাজনৈতিক প্রভাব ছিল, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আজকে এই ঈদের দিনেও অনেক পরিবারে আনন্দে নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে এই ঈদের আনন্দ স্পর্শ করতে পারেনি। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের কাছে এই আনন্দ পৌঁছাতে পারিনি। এই ঈদের দিনে রাজনৈতিক দলগুলোকে শপথ নিতে হবে জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার।
শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সাবেক ইমাম ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সম্পর্কে আবু হানিফ বলেন, আমরা বিগত সময়ে দেখেছি রাজনৈতিক বিবেচনায় একজনকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। হাসিনার পতনের পর তিনিও পলাতক। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা একটা দলের পতনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় মসজিদের খতিব এবং ঐতিহাসিক ঈদগাহের ইমামও পলাতক। আমরা ভবিষ্যতে চাইবো এসব ধর্মীয় কিংবা সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন রাজনৈতিক বিতর্কের বাহিরে রাখা হয়।
ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা খুবই ভালো ছিল। কোথাও কোনো সমস্যার কথা আমরা শুনিনি। সার্বিক বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন