পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় মহানগরী নেতারা বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে খুশির সওগাত নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল ফিতর ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে শান্তি ও সহমর্মিতার অনুপম শিক্ষা দেয় এবং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের জন্যে অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমরা স্বস্তি ও নিরাপদে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের ফিলিস্তিনের মজলুম ভাই-বোনেরা দখলদার ইসরাইলের বর্বর হামলায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারছে না। যে মানবিক বিপর্যয় সেখানে ঘটছে তা নিরসনে বিশ্ব নেতাদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান জামায়াত নেতারা।
নেতারা ঈদুল ফিতরের এই দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষায় শুভেচ্ছা জানান, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ অর্থ : মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ও আপনার নেক আমল তথা ভালো কাজগুলো কবুল করুন। অসহায় মানুষকে সহযোগিতার মাধ্যমে এবার ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে এবং রমজান মাসের প্রকৃত শিক্ষা ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশে কল্যাণকামী সরকার বা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুভেচ্ছা বার্তায় নেতারা আরও বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে ফ্যাসিবাদ মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে জাতি। নতুন বাংলাদেশ নিয়ে জাতির প্রত্যাশা অনেক। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সব ভেদাভেদ ভুলে সব রাজনৈতিক দলমতকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা। নেতারা স্পষ্ট করেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চলেছে, সেভাবেই নতুন বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে হবে, দেওয়া যাবে। এজন্য শুধু সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তারা।
ঈদ হলো ঐক্যের প্রতীক। সবার সঙ্গে একাকার হওয়ার প্রেরণা হলো- এই ঈদ। তাই আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব-ভালোবাসা ও সম্প্রীতির চেতনা যদি অটুট থাকে তবে আগামীর সমাজ হবে ন্যায়, ইনসাফ ও শোষণহীন এক আদর্শ সমাজ। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ঈদের প্রকৃত খুশি সবাই মিলে উপভোগ করবো ইনশাআল্লাহ।
নেতারা আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে দল-মত, জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের প্রিয় নগর থেকে গ্রাম সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিমুক্ত, আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তুলি।
মহান রব আমাদের সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুক এবং জাতির কল্যাণে আমাদের নিবেদিত রাখুক। আমিন
মন্তব্য করুন