পবিত্র রমজান উপলক্ষে অভিনব কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। রোজার শুরুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়- মাসব্যাপী যে সব শিশু-কিশোর মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাদের প্রত্যেককে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হবে।
সে ঘোষণার প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীতে রূপনগর-পল্লবী এলাকার ৩২ শিশু-কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার দেয় সংগঠনটি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই মহতী উদ্যোগের প্রশংসায় ভাসছে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে চেটেপুটে খেয়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও শেখ পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা আগেই পালিয়ে গেছে। কারণ, বিদেশে তাদের বাড়িঘর আছে।
এ সময় তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে দেশের এই তরুণ-কিশোররা জীবন দিয়ে লড়েছে, রক্ত দিয়েছে। গুলির সামনে দাঁড়িয়েছে মুগ্ধ, আকরাম, আবু সাঈদরা। তাদের এ আত্মদান মহিমান্বিত। তরুণ-কিশোরদের আন্দোলনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসররা।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে যখনই কোনো ক্রান্তিকাল এসেছে তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার নির্যাতনে দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে ফেরারী জীবনযাপন করেছে বিগত দিনে। মামলার কারণে বাবার লাশ পর্যন্ত দাফনে যেতে পারেনি তারা।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় গেছে। এতে দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও এখনো আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। এখনো দেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়নি।
আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এখন নানা টালবাহানা শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টা শুরুতে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কথা বললেও এখন সেখান থেকে সরে এসে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের মধ্যকার কিছু গোষ্ঠীর ক্ষমতার মোহে সংস্কার ও ফ্যাসিবাদের বিচারের নামে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে তারা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, বিশিষ্ট সমাজসেবক, পল্লবীর রূপনগর এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন