আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় ন্যায়- ইনসাফ, মানবিক মূল্যবোধভিত্তিক শোষণ, বঞ্চনা, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
নেতৃদ্বয় ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল শ্রেণির নগরবাসীর প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
শুভেচ্ছা বাণীতে তারা বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। মূলত, রমজান হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি, আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের উত্তম মাধ্যম। এর মধ্যেই রয়েছে আর্ত-মানবতার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর আমাদের মাঝে আবারো ফিরে এসেছে পবিত্র ‘ঈদুল ফিতর’। ঈদের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে আর্ত- মানবতার কল্যাণ এবং বিপন্ন ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরে গণমানুষের কল্যাণ ও দারিদ্রবিমোচনে যাকাত ও সাদাকাতুল ফিতর যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
নেতৃদ্বয় ঈদুল ফিতরের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে আর্ত-মানবতার কল্যাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও রাষ্ট্রের প্রায় সকল সেক্টরেই তাদের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় থেকে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে অন্যবারের তুলনায় এবার দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও নানান কারণে পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক ছিল না। সর্বোপরি ফ্যাসিবাদের দোসররা পুরো রমজান ধরেই দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করার নানাবিধ অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্য অটুট থাকায় তারা খুব একটা সফল হতে পারেনি।
তারা আরও বলেন, এবার ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে চললেও ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রাও পুরোপুরি নিরাপদ করা যায়নি। পরিবহণ সংকট ও বাড়তি ভাড়াসহ নানাবিধ কারণে এখন পর্যন্ত জনগণের ঈদ যাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হয়ে ওঠেনি। তাই ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও ঈদকে আনন্দঘন করতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন