কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আদালতের ঘোষণায় যে প্রতিক্রিয়া জানালেন ইশরাক

ইশরাক হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ইশরাক হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ভোট কারচুপির অভিযোগে শেখ ফজলে নূর তাপসের মেয়র পদ বাতিল করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

আদালতের এই রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেছেন ন্যায় বিচার পেয়েছি। সেই ধারা ফিরে আসুক দেশে। তবে, মেয়র হিসেবে শপথ নিবেন কিনা সেটি দলীয় সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ইশরাক হোসেন।

এর আগে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

আদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে সরকারের গেজেট বাতিল করা হয়। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন আদালত।

অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলাম। তাকে মেয়র হিসেব ঘোষণার আবেদন করেছিলাম। আদালত আজ আমমাদের পক্ষে রায় দিলেন। ইসরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেন। তারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়। মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টোঙ্গায় ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা

খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে ঈদের জামাত সকাল ৮টায়

যে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন জামায়াত আমির

স্কুল বন্ধ, আফগান মেয়েদের জন্য মাদ্রাসাই একমাত্র পথ

ইমাম নিয়ে বিরোধে ঈদের জামাত বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি

গত দুই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ মানুষ

লঞ্চে বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ করে ২৮ যাত্রী কারাগারে

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার

শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশিসহ লাখো বিদেশির স্বপ্ন ভাঙার পথে

১০

হালিমা-খালেক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

১১

আলুর দর নিয়ে বিতণ্ডা, শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

১২

হুইল চেয়ারে সিনেমা দেখতে এলেন মোশাররফ করিম

১৩

যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, ইসরায়েলের পাল্টা অবস্থান

১৪

দর-কষাকষি শেষে ২ লাখ মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে

১৫

মিয়ানমারে সাড়ে ১৬ টন ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে কবর খুঁড়ে ৪ কঙ্কাল চুরি

১৭

‘গুম-খুনের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের প্রতি সরকার উদাসীন’

১৮

মায়ের মুখের হাসি

১৯

কারাগারে ম্যাডামকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

২০
X