বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান বলেছেন, বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে না পারা, নাগরিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হওয়া থেকে শুরু যত সংকট আমাদের সামনে দৃশ্যমান তা সমাধানে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই দেশ ও জাতির জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে নতুন ধারার রাজনীতি আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মিডিয়া সেলের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভোরের ডাকের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান মল্লিক, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক জামাল উদ্দিন বারী, এসএ টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর বোরহান উদ্দিন ফয়সাল, শহীদ ফারদিনের পিতা নুরুদ্দিন রানা, ইকোনমিক এক্সপ্রেসের নির্বাহী সম্পাদক রহমতুল্লাহ, গাজী টিভির আর্ট ডিরেক্টর ফয়েজ বিন আকরাম, এশিয়ান টিভির রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, হালচাল সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী আনোয়ার, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, বিএফইউজের সাবেক সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকির হোসাইন প্রমুখ।
মারুফ কামাল খান আরও বলেন, আমি যেখানেই নতুন রাজনীতির খবর শুনি সেখানেই ছুটে যাই। কারণ অচল রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এবি পার্টি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যে বয়ান হাজির করেছে, আশা করি তা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্রজনতা ও মূলধারার সাংবাদিকের পাশাপাশি অনলাইন সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা। যখন মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো সরকারের বিভিন্ন সংস্থার হুমকিতে আন্দোলন কাভার করতে পারেনি, সেই সময় আপনারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধ্রুবতারার মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। আপনারা আমাদের সাথে রাস্তায় ছিলেন এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। যখন কেউ আমাদের সংবাদ প্রচার করতো না তখন আপনারাই আমাদের প্রধান ভরসা ছিলেন।
সেকেন্ড রিপাবলিকের নতুন রূপরেখা তৈরি হয়ে গেছে। আবার কি আমরা গুমের রাজনীতিতে ফিরে যাব? আবার কি আয়নাঘরে ফিরে যাবো? কোন কথা বলা যাবে, আর কোনো কথা বলা যাবে না!! এটি প্রতিষ্ঠা করার একটা সময় চলছে। আপনারা লড়াইয়ের মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন না। আমার দেশের পররাষ্ট্র নীতি যারা অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের আমরা আর পুনর্বাসিত করতে পারি না।
এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী দফতর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু।
সাংবাদিকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন রুমি, কালবেলার রাহাত, রুপসী বাংলাদেশের কল্লোল, মানবকন্ঠের তানভীর, জিটিভির মোজাফফর, এসএ টিভি জাকির, ডেসটিনির জিহাদ নুর চৌধুরী, বিজয় টিভির হৃদয়, এসএ টিভির ইসমাইল হোসেন, হাসান শিশির, স্বদেশ প্রতিদিনের রাজু আহমেদ, জনমুক্তির হিরো খান, বাংলাদেশ খবরের মোহাম্মদ নেসার, দ্যা নিউ নেশনের মুসান্না সাকির, নিউজ বাংলার সুজন বিশ্বাস, ডিবি নিউজের আবু বক্কর, মানব কণ্ঠের মাহবুব, বাংলা টিভির লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সংবাদের রিয়াদ, স্বদেশ বিচিত্রার সাকিল, দৈনিক সংগ্রামের জুবায়ের আহমেদ, দৈনিক ইনকিলাবের সাব্বির হোসাইন, আজাদুর রহমান, ডেইলি ক্যাম্পাসের সাদিয়া, দেশকাল নিউজের তাহমিনা ইসলাম, বাংলা টিভির আবির, আমার সংবাদ কালাম মো, মানবিক বাংলাদেশের নীল, এশিয়ানের সফিকুল, বার্তা বাজারের মুরসালিন ইসলাম, নিউ নেশন রাকিব হোসাইন মিলন , ব্রেকিং নিউজের শিউলি আক্তার শিলা, ২৪ ঘণ্টার ফাতেমা আক্তার মুক্তা, স্টার বাংলার লিমন শেখ, প্রতিদিনের খবরের মাসুম রিফাত, সংগ্রাম প্রতিদিনের মনিরুল ইসলাম, দৈনিক দেশ জগৎ এর বোরহান উদ্দিন দৈনিক, আজকের বাংলাদেশের ইকবাল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন