নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচারের দোসররা ও ষড়যন্ত্রকারীরা বসে আছে। তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী আদাবর থানার ৫টি স্পটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ এবং রূপনগর আবাসিক জনকল্যাণ সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে না। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না। এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) উচিত গণতন্ত্র ও সংস্কারকে চলমান রেখে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ, নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।
তিনি বলেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনামুক্ত হয়েছি কিন্তু পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচারমুক্ত হতে পারিনি। দেশে যেন একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হতে পারে, এজন্য স্বৈরাচাররা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। গত দেড় যুগ ধরে এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ও স্বৈরাচারের দোসররা এই অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ঢুকে তাদের নির্বাচন না দেওয়ার জন্য বুদ্ধি ও পরামর্শ দিচ্ছে।
আমিনুল হক বলেন, আমরা চাই এই অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের ভেতরে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। জনগণের এই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভোটের জন্য রাজনীতি করে না। জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা নিয়েই বিএনপি জনগণের পাশে থেকে জনগণের রাজনীতি করে। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের সব ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। সেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি একটি সুন্দর সমাজ ও সুন্দর-সমৃদ্ধশালী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।
মন্তব্য করুন