বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে টেক্সটাইল সেক্টর, গার্মেন্টস এ দেশে স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশে যখন দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তখনই জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন এবং দুর্ভিক্ষ থেকে এ দেশের মানুষকে রক্ষ করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার মাথার মধ্যে ছিল কোন কোন সেক্টরে কাজ করলে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি শিল্প খাতগুলোকে চিহ্নিত করেছিলেন। সে কারণেই আজকে গার্মেন্টস শিল্প, টেক্সটাইল, জনশক্তি কোন দিকে যাবেন? বাংলাদেশের অর্থনীতির যেদিকেই যাবেন সেদিকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্পর্শ রয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় এ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর রমনাস্থ আইইবি সদর দপ্তর রমনা ঢাকার সেমিনার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোস্তফা-ই-জামান সেলিমের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও অংশ নেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, এ্যাবের সদস্য সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, প্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী জুলহাজ উদ্দিন, আইটিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এহসানুল করিম কায়সার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস ফোরামের সভাপতি এটিএম সামসু উদ্দিন খান, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন ও অর্থ) এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী, প্রকৌশলী আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী নুর আমিন লালন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী একেএম মহসিন আহমেদ, সেন্ট্রাল কাউন্সিল মেম্বার প্রকৌশলী সুমায়েল মোহাম্মদ মল্লিক, ইফতার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, প্রকৌশলী সাজেদুর হক শালুক, আইটিইটির সদস্য সচিব প্রকৌশল এনায়েত হোসেন, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসনে আরা বেগমসহ অনেক স্বনামধন্য প্রকৌশলী নেতারা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এ দেশের মানুষকে দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা করেন। বাংলাদেশকে উন্নয়ন করতে হলে জনগণের পক্ষে পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বাড়াতে হবে এবং কলেজ লেভেলে টেক্সটাইল বিষয়ক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, দেশ টিকবে কি টিকবে না এমন সময় মহাদুর্ভিক্ষ। সে সময় জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে স্বাবলম্বী করার নীতি গ্রহণ করেন। দেশকে স্বনির্ভর করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। অর্থাৎ মানুষকে স্বাবলম্বী করার নীতি গ্রহণ করলে সে দেশ কখনোই অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায় না।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে টেক্সটাইল খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান রিজভী। তিনি জানান, এ বিষয়ে আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। যাতে ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, টেক্সটাইল সেক্টর হলো জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
এ্যাবের সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মোট অর্থনীতির ১২ শতাংশ টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর থেকে আসে। এ বছর ৪০ বিলিয়ন ডলার টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস থেকে এসেছে। আমাদের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর থেকে আসে। এ সেক্টরকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে এবং একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নে টেক্সটাইলের ভূমিকা অপরিসীম। টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস উন্নয়নে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে- তাই অতিদ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে হবে।
মন্তব্য করুন