ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধের দায় দল হিসেবে তাদের ওপর বর্তায়। শুধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর দায় চাপিয়ে দলকে দায়মুক্তি দেওয়া গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
শনিবার (২২ মার্চ) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমেলার নিয়মিত বৈঠকে পবিত্র মক্কা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেন তিনি।
মুফতি রেজাউল বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য করা যায় না। কারণ, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চরিত্রের চেয়ে মাফিয়া চরিত্র বেশি প্রকট। ফলে রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নীতি-আদর্শ তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গুম, খুন, হত্যা ও নিপীড়নের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, গণহত্যা, গুম ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখনো আওয়ামী লীগের দায়িত্বে রয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে দল হিসেবেই আওয়ামী লীগ নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত। তাই স্বৈরাচারের পূর্ণাঙ্গ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন ও রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না।
রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, অপরাধীদের শাস্তি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যারা ফ্যাসিবাদী দলের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন, তারা রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। খুনিদের বিচারের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও পুনর্বাসনের আলোচনা অনৈতিক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ ধরনের আলোচনাকে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী মনে করে।
সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে মুফতি রেজাউল বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। স্বৈরাচার পতনে তাদের ভূমিকা জাতিকে আশ্বস্ত করেছে। তাই সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে কোনো প্রচারণা অকল্যাণকর। একই সঙ্গে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপও কাম্য নয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন