আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন। শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে তারা।
গণঅধিকার সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আমরা লক্ষ্য করছি আওয়ামী লীগের কালো টাকার লোভে অনেক রাজনৈতিক দল তাদের রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নুর বলেন, ছাত্র সমন্বয়করা তদবির করে আওয়ামী লীগের দোসরদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে আর দোষ চাপাচ্ছে সেনাবাহিনী ও সরকারের উপর। সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে যারা দল গঠন করেছে তারাও শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট দল হতে চায়।
গণঅধিকার সভাপতি বলেন, যারা রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়ে দল গঠন করেছে তারা আজ দেশে বিভাজন ও নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী তাদের সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নুর বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো। গণঅভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীকে কেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।
কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনাকর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, তাই সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা নিয়ে নতুন করে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে, এই দেশে আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। সুতরাং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে গণঅধিকারের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন আল-রাজি সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণঅধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
মন্তব্য করুন