বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় নির্মম হামলা ও গণহত্যা বন্ধে এবং মজলুম গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের বিবেকবান ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। মানবরচিত মতবাদে দেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে এত অস্থিরতা ও অশান্তি।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শেওড়াপাড়াস্থ মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ব্রাঞ্চ-৩) এর মাঠে কাফরুল থানা পশ্চিম জামায়াত আয়োজিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মূলত সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআনকে বিজয়ী করা গেলে কোনো ধর্মের মানুষেরই কোনো সমস্যা থাকবে না। দেশের সব নাগরিক সমাজ অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারো হক নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। থাকবে না মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য। সমাজে কোনো দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি থাকবে না।
শফিকুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি দেশে কোরআন বিজয়ী ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
থানা আমির আব্দুল মতিন খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম এবং সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন ও আনোয়ারুল করিম, কাফরুল উত্তর থানা আমির রেজাউল করিম, শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান, জোন টিম সদস্য জসিম উদ্দিন, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা কর্মপরিষদ সদস্য মতিউর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ, মুহাম্মদ ছায়েফুল্লাহ, নাসিমুল আলম, আমিনুর রাহমান আমান, খন্দকার মাহবুবুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গাজা সবসময় অপরাজেয়। কারণ, গাজাবাসী কোরআনের সঙ্গী ও কোরআনের যোদ্ধা। তারা ভয়কে জয় করেই গাজায় বসবাস করছে। তাদেরকে জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদান করা হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় সেখানেই রয়েছে গেছেন। মূলত, বিশ্বের সকল মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারো পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং যার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়েই এসব মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পবিত্র এ মাহে রমজান মাসে আল্লাহর ভয় এবং তালিম নিয়ে বিপন্ন গাজাবাসীর সাহায্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ফিলিস্তিনের গাজায় ইতিহাসের নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যা চলছে। বিশ্বের তথাকথিত মানবতাবাদীরা জায়নবাদীদের রশদ সরবরাহকে করছে। তাই মজলুম গাজাবাসীদের বাঁচাতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও বর্বরতা অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই কোনো বিবেকবানের নীরবে বসে থাকার সুযোগ নেই। তিনি জায়নবাদী হত্যা ও হত্যাযজ্ঞ মোকাবেলায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন