ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী নির্মম হত্যাযজ্ঞের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে জোটের অস্থায়ী কার্যালয় খিলগাঁওয়ে এক জরুরি সভায় ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় নেতারা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দারা যখন গভীর ঘুমে, যখন কেউ কেউ পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, ঠিক সেই সময় যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলায় অন্তত ৯৮০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান ১২ দলীয় জোট নেতারা। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জোট নেতারা বলেন, গাজায় খাদ্য ও ওষুধের ওপর চলমান অবরোধের মধ্যেই বিশ্ব শান্তির বিষফোড়া ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এ হামলা পরিচালনা করেছে। এ হামলা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের ধারাবাহিকতা’ মাত্র। গাজায় ইসরাইলের এই হামলাগুলো বিশ্বে অস্থিতিশীলতা বয়ে আনতে পারে। নেতানিয়াহুর সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
এ হামলা প্রমাণ করে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পুনরায় যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়ে এ হামলা চালিয়ে নিজেদের জঙ্গি মনোভাবই প্রকাশ করলো। পবিত্র রমজান মাসেও মনুষ্যত্ব ভূলুণ্ঠিত করে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এ সন্ত্রাসী বাহিনী। এ হামলা ও আক্রমণ করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরাসরি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে; যা গুরুতর অপরাধের শামিল। দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং বাংলাদেশ সরকারকেও এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান এবং মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ করেন জোট নেতারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল-পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এমএ মান্নানসহ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী আব্বাস খান, কাজী নাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর সভাপতি ফারুক উমর।
মন্তব্য করুন