কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মির্জা আব্বাসকে ক্ষমা চাইতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাথে মিলে চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিএনপির পতন ঘটিয়েছে এবং চরমোনাই পীর সাহেব নিজেই তা বলেছেন’ মর্মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও মিথ্যাচার। তাকে তার বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে অন্যথায় তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চক্রান্তের রাজনীতি করে না। বরং সর্বদাই দেশ-জাতি ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতাসীন ছিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিরোধী দলসমূহের অন্তর্গত ছিল। সেই সময়ে ইসলামী আন্দোলন তৎকালীন বিএনপি সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে। এখন বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে যদি জনাব আব্বাস সাহেবের কাছে ষড়যন্ত্র মনে হয় তাহলে বলতেই হবে, তিনিও একজন সম্ভাব্য স্বৈরাচার।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সবারই জানা। ২০০৬ সালে ৯ম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অশুভ চেষ্টার প্রতিফল হিসেবেই এক এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সূচনা হয়। এটা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্য। আব্বাসের উচিত হবে এই সত্যকে স্বীকার করে শিক্ষা নেওয়া। সত্যকে অস্বীকার করার প্রবণতা ভালো না।

তিনি বলেন, বিএনপির মাননীয় মহাসচিব আমাদের অফিসে এসে যে সমঝোতা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করে চলছি। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে, বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেই সমঝোতাকে সম্মান করবেন। সেখানে আব্বাসের মতো একজন সিনিয়র নেতা যখন এমন মিথ্যা কথা বলেন তখন তার বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র জনাব আব্বাসের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, তাকে এই বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে নতুন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা নষ্ট করার জন্য তিনি দায়ী হবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৭০ শিশু নিহত

লোহাগড়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

ট্রাম্পের ভণ্ডামিতেই কি গাজার সংকট বাড়ল

নামাজ পড়ায় সাইকেলসহ নানা পুরস্কার পেল শিশু-কিশোররা

গুলশানে ডিশ ব্যবসায়ী সুমন হত্যায় গ্রেপ্তার ২

আন্তর্জাতিক মিলিটারি আর্চারি টুর্নামেন্টে তৃতীয় সশস্ত্র বাহিনী

প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়ালেন জবি শিক্ষার্থী

বেসরকারি ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা দাহ

‘বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’সহ নানা স্থাপনার নাম পরিবর্তন

ঈদের আগে সুদের টাকার ঝগড়ায় শিশুর করুণ পরিণতি

১০

ডিসেম্বরের মধ্যে দ্রুত নির্বাচন ও ভোটের অধিকার চায় জনগণ : খোকন

১১

স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে প্রত্যেক সদস্য প্রস্তুত রয়েছে : সেনাপ্রধান

১২

গণহত্যা ভয়ংকর ও বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত : স্বপন

১৩

ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : আমিনুল হক

১৪

গণঅভ্যুত্থানে আহত ইমরানের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

১৫

হামিম গ্রুপের জিএম আহসান উল্লাহর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

১৬

‘আমার পরিবারের পঞ্চাশ বছর আগেও ৫০টি গাড়ির ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য ছিল’

১৭

পঙ্গু হাসপাতালে ঈদ উপহার বিতরণ এ্যাবের

১৮

প্রতিবাদ চলবে, আঘাত কিংবা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত : হান্নান মাসুদ

১৯

ছোট হয়ে আসছে দেশের শ্রমবাজার, রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ

২০
X