কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সংস্কারবিহীন নির্বাচন দেশে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে : বুলবুল

ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। ছবি : কালবেলা
ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, সংস্কারবিহীন নির্বাচন দেশে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে। সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ ইসলামী দল হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এতো জুলুম-নির্যাতন, রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করেও জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি এটাই তার দৃষ্টান্ত।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আজকেও যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে, অপপ্রচার চালাতে চাচ্ছে তাদেরকে অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী এক আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করে না, করবেও না। কোনো অপশক্তির কাছে জামায়াতে ইসলামী মাথানত করে না। যারা শাহাদাতের তামান্না লালন করে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। বরং ষড়যন্ত্রকারীদেরই নিঃশেষ হতে দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, বদর যুদ্ধের যেই ঐতিহাসিক ঘটনা তা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় এবং করণীয়। বদর যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল মুসলমানদের সম্পদ লুটপাট করে নেওয়া এবং মুসলমানদের মদিনা থেকে মক্কায় হিজরত করতে বাধ্য করা, এজন্যই বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির বলেন, বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর যোদ্ধা ছিলেন ৩১৩ এবং কুরাইশ বাহিনীর যোদ্ধা ছিল ১০০০ জন। যুদ্ধের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র কুরাইশদের ছিল। মুসলিম বাহিনীর কাছে তেমন কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় হয়। এ যুদ্ধে আল্লাহ নিজে সরাসরি ফেরেশতা দিয়ে মুসলমানদের সহযোগিতা করেছেন।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠার যে কোনো আন্দোলনে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যায়। যার বাস্তব চিত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে। আগামীতেও যে কোনো সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যাবে। সেজন্যই জামায়াতে ইসলামী সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বরাবরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

বুলবুল আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই বলে আমরা কারো কোনো সংস্কার মানব না, ক্ষমতায় গিয়ে আমরা সংস্কার করব। তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভয়ংকর হবে। তারা মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথে হাঁটছে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারগুলো যারা করতে না দিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চায়, তাদের উদ্দেশ্য জনগণ বুঝে গেছে। তারা বরাবরই জনগণের বিপক্ষে।

তিনি বলেন, জনগণ চায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দেশের ১৮ কোটি জনগণের এখনো সমর্থন রয়েছে। সরকারের নৈতিক দায়িত্ব জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করা। কারো চাপের মুখে জনগণের প্রত্যাশা বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ সেটি মানবে না। তাই সরকারকে জনগণের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, কামরুল আহসান হাসান, শাহীন আহমেদ খান। এ ছাড়া সভায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুজব ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সংবাদ সম্মেলন

জুলাই আন্দোলনে গুলিতে আহত শাহাদাতের নাম নেই তালিকায়

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ মহাসচিব

তল্লাশির সময় চেকপোস্ট থেকে পুলিশকে তুলে নিল ডাকাত দল

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার খবর কী

গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা করল ইসরায়েল

যশোরে সাতসকালে সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

বগুড়ায় বাদীর টাকা কেড়ে নেওয়া সেই এসআই প্রত্যাহার

ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে

১০

আ.লীগ নেতা-বিএনপির কর্মীকে টাকা দিলে মেলে খালের পানি

১১

রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেলাল আটক

১২

২৯ মার্চের ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ

১৩

টিভিতে আজকের খেলা 

১৪

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

১৯ মার্চ : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

‘এ তো কেবল শুরু’

১৭

মাথায় আঘাতের ৩৫ দিন পর ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৮

বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ 

১৯

‘আগামীর নির্বাচন হওয়া উচিত সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’

২০
X