জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় রাজনীতির সংস্কারের ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা। এটা ইচ্ছা- অনিচ্ছা বা ছোট বড় বিষয় নয়। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বিদ্যমান নৈরাজ্য রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক অবস্থাকে অতিক্রম করার লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুসংঘবদ্ধ ও পরিণত পদক্ষেপ হবে ইতিহাসের ভবিষ্যৎ।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জেএসডি আয়োজিত নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বপন বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অন্যায়, অবিচার ও নিরাপত্তার নৈরাশ্যমূলক সমাজ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা মনুষ্যত্বের মহিমাকে ভূলুণ্ঠিত করে। এই মনুষ্যত্ববিরোধী রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলতে হবে। একটি মানবিক সমাজ এবং সুশাসন, প্রতিটি ব্যক্তিকে স্বমহিমায় ও পূর্ণ আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এই ধরনের উপযোগী রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের লক্ষ্যেই জেএসডি অংশীদারত্বের গণতন্ত্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হাজির করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, জীবনবিমুখ বা জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো মতাদর্শ কিংবা ভাবধারা আমাদের সমাজ গ্রহণ করবে না। সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে ইতিহাসের গতিপথের পরিবর্তন করা যায় না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নারীকে ঘরে আবদ্ধ রাখার মতো কোনো প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক মতবাদকে চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না।
দলের ঢাকা মহানগর পূর্বের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন-জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারেফ হোসেন, মো. মোস্তফা কামাল, মোশারেফ হোসেন মন্টু, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, এম এ আউয়াল, কামরুল আহসান অপু, এস. এম. মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রেস ক্লাব, পল্টন, বিজয় নগর প্রদক্ষিণ করে।
মন্তব্য করুন