খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, সমাজে খুন ও ধর্ষণ বেড়ে গেছে। নিজেদের অধিকার আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত ‘কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সিয়ামের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আহমদ আবদুল কাদের বলেন, মানবীয় প্রভুত্বের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে আল্লাহর বিধানের কাছে মানুষকে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে। সরকারকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলার উন্নতিতে আরও কঠোর হতে হবে। ইসলাম মানুষকে আল্লাহর হকের পাশাপাশি বান্দার হক সংরক্ষণের জন্যও তাগিদ দেয়।
তিনি আরও বলেন, অন্য মানুষের অধিকার খর্ব করাকে ইসলাম কঠিন অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। এসব অপরাধীর জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে শাস্তি নির্ধারণ করা আছে। ইসলাম চায় ভারসাম্যমূলক ও কল্যাণমূলক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে। মাহে রমজান সে সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষকে প্রস্তুত করে।
এছাড়াও তিনি বলেন, মাহে রমজানের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আমাদের একটি পরিশুদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। মজলুম মানবতার মুক্তির জন্য খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আমাদের আরাকান, ফিলিস্তিনসহ নির্যাতিত সবার পাশে দাঁড়াতে হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি নাজিম উদ্দীন, খেলাফত মজলিস নির্বাহী সদস্য শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুস সামাদ, রফিকুল ইসলাম।
ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলানা শায়খুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহকারি বায়তুলমাল সম্পাদক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমির আলী হাওলাদারসহ মহানগরীর নেতারা।
মন্তব্য করুন