জামায়াতে ইসলামীকে মানুষ নেতৃত্বে দেখতে চায় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বের উপর দেশি-বিদেশি আস্থা ও সমর্থন দেখে আমাদের প্রতিপক্ষদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তাদের দলের নেতারা এমনভাবে কথা বলতে শুরু করছে, কথা শুনে তাদের সুস্থ মনে হয় না। তারা সকালে এক কথা বলে বিকেলে আরেক কথা বলে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে মহানগরী মজলিসে শূরার বিশেষ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষের লোকেরা অনেকটা গায়ে পড়ে গোলমাল করার চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সবসময়ই জুলুমের শিকার। আগে আওয়ামী লীগ জুলুম করত, এখন আরেক দল শুরু করেছে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, এ দেশের জনগণ কোনো ফ্যাসিস্টকে গ্রহণ করেনি, করবেও না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যার সঙ্গে জড়িত বিচারক, প্রসিকিউশন, ভুয়া সাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের অপশাসনের বিগত ১৫ বছরে পাচার হওয়া ২৬ হাজার কোটি টাকা ফেরত এনে পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতেও তিনি দাবি জানান।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াত কর্মী মানে সমাজকর্মী এটি আমাদের কর্মকাণ্ডে জনগণ বুঝতে পেরেছে। আমাদের সামাজিক কর্মকাণ্ড আরও জোরালোভাবে পালন করতে হবে। তিনি উপস্থিত মজলিসে শূরার সদস্যদের নিজ নিজ থানা এলাকায় ব্যাপক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, শামছুর রহমান। এছাড়াও মহানগরীর দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন